Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

প্রশ্নোত্তর (ফাল্গুন ১৪২৬)

কৃষি বিষয়ক
নিরাপদ ফসল উৎপাদনের জন্য আপনার ফসলের ক্ষতিকারক পোকা ও রোগ দমনে সমন্বিত বালাইব্যবস্থাপনা অনুসরন করুন।
মোছাঃ নাঈমা সুলতানা, গ্রাম: পায়রাবন্দ, উপজেলা: মিঠাপুকুর, জেলা: রংপুর
প্রশ্ন: গমের ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়?
উত্তর:  গমের শীষ বের হওয়ার সময় ১ বার এবং ১২ থেকে ১৫ দিন পর আরেকবার প্রতি শতক জমিতে ৬ গ্রাম নাটিভো ৭৫ ডব্লিউ জি অথবা নভিটা ৭৫ ডব্লিউ জি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতক জমিতে ভালোভাবে স্প্রে করতে হয়। এতে শুধু ব্লাস্ট রোগকে রোধ করে না। বরং গমের পাতা ঝলসানো রোগ, বীজের কালো দাগ এবং মরিচা রোগও দমন হয়। আরেকটি বিষয় মনে রাখতে হবে, সেটি হলো ছত্রাকনাশক স্প্রে করার সময় অবশ্যই হাতে গ্লাবস ও মুখে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। যাতে ছত্রাকনাশক শরীর ও শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবশ করতে না পারে। ।
মো. করিম আহমেদ, গ্রাম: তাম্বুলখানা, উপজেলা: ফরিদপুর সদর, জেলা: ফরিদপুর
প্রশ্ন: মসুরের জাবপোকা দমনে কী করণীয়? জানাবেন।
উত্তর:  জাবপোকা মসুরের পাতা, কাণ্ড, ফুল ও ফলে আক্রমণ করে। আর সেগুলো থেকে রস চুষে খায়। এতে করে গাছের বাড়বাড়তি কমে যায়। ফলনও আশানুরূপ হয় না। এ সমস্যা দূরীকরণে ডায়মেথয়েট জাতীয় কীটনাশক যেমন টাফগর ৪০ ইসি বা অন্য যেকোন ডায়মেথয়েট গ্রুপের কীটনাশক প্রতি লিটার পানিতে ২ মিলি হারে মিশিয়ে সঠিক নিয়মে স্প্রে করলে উপকার পাবেন।
সুমন মজুমদার, গ্রাম: নারায়ণপুর, উপজেলা:  কেশবপুর, জেলা: যশোর
প্রশ্ন:  ছোলা গাছের গোড়া পচা রোগ দমনে কী করতে হবে? জানাবেন।  
উত্তর:  স্কে¬রোশিয়াম রলফসি নামক ছত্রাক দ্বারা এ রোগ হয়ে থাকে। এ রোগে শিকড় ও কাণ্ডের সংযোগস্থলে কালো দাগ পড়ে। গাছ টান দিলে সহজেই উঠে আসে। মাঠে ঢলে পড়া রোগ দেখা দিলে কার্বেনডাজিম গ্রুপের ব্যাভিস্টিন বা নোইন এবং প্রোভেক্স ২০০ ডব্লিউ পি ১ গ্রাম হারে প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে বিকালে গাছের গোড়ায় ভালোভাবে স্প্রে করতে হবে। তাহলে আপনি উপকার পাবেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে পরের বছরে রোগ প্রতিরোধী জাত বারি ছোলা ৫ এবং বারি ছোলা ৯ চাষ করা, সুষম সার প্রয়োগ এবং বীজশোধন করা এসব ব্যবস্থা নিতে হবে। তাহলেই আপনি উল্লিখিত এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।     
মো. খাইরুল আলম, গ্রাম: এলাইগা,  উপজেলা: পীরগঞ্জ, জেলা: ঠাকুরগাঁও
প্রশ্ন: কচু গাছের পাতা ঝলসানো রোগ দমনে কী করণীয়?
উত্তর:  এ রোগের সবচেয়ে বড় উৎস হলো আক্রান্ত বীজ। কারণ সাধারণত বীজে এ রোগের মাইসেলিয়াম থাকে। সে কারণে সুস্থ বীজ ব্যবহার করা জরুরি। কচু গাছের রোগে আক্রান্ত পাতা ছেটে ফেলা এবং ফসল সংগ্রহের পর জমিতে থাকা করম ও পাতা ধ্বংস  করতে হবে। আর জমিতে রোগ দেখা দিলে ছত্রাকনাশক যেমন সিকিউর/ডায়থেন এম ৪৫ বা রিডোমিল গোল্ড নামক ছত্রাকনাশক ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে নিয়মমাফিক স্প্রে করলে এ রোগ দমন করা যাবে। আশাকরি এসব ব্যবস্থা নিলে আপনার সমস্যার সমাধান হবে।   
ঝর্ণা বেগম, গ্রাম: ভাণ্ডারদহ, উপজেলা: পাটগ্রাম, জেলা: লালমনিরহাট
প্রশ্ন:  গাঁদা ফুল পচা সমস্যায় কী করব?
উত্তর: গাঁদা ফুলে ছত্রাকের আক্রমণের কারণে ফুল পচা রোগ হয়। পাপড়ির ভাঁজে ভাঁজে ছত্রাকের অগণিত স্পোর দেখা যায়। ফলে পুরো ফুলটি কালো হয়ে পচে যায়। ইপ্রোডিয়ন গ্রুপের যেমন  রোভরাল প্রতি লিটার পানিতে ২ মিলি হারে মিশিয়ে ১০ দিন পর পর স্প্রে করলে এ রোগ দমন করা যায়।
সাহেব আলী, গ্রাম: বিষ্ণুগ্রাম,  উপজেলা: পাইকগাছা, জেলা: খুলনা
প্রশ্ন: বাণিজ্যিকভিত্তিতে সজিনা কাটিং লাগানোর নিয়ম সম্পর্কে জানাবেন।
উত্তর: বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বাগান করার ক্ষেত্রে ৪ মিটার ী ৪ মিটার দুরত্বে ষড়ভূজ পদ্ধতিতে রোপন করা দরকার। সেজন্য জমি ভালোভাবে চাষ করে ৫০ সে.মি. ী ৫০ সে.মি. ী ৫০ সে.মি. আকারের গর্ত তৈরি করতে হয়। তারপর সজিনার কলম চারা লাগানোর ২০-৩০ দিন আগে প্রতি গর্তে ৪০ কেজি পচা গোবর, ৫০ গ্রাম করে ইউরিয়া, টিএসপি. ও এমওপি. ১০০ গ্রাম এবং জিপসাম, বোরাক্স ও জিঙ্ক সালফেট ১০ গ্রাম দিতে হয়। এরপর গর্তের মাটি উপরে-নীচে ভালোভাবে মিশিয়ে রেখে দিতে হবে। পরবর্তীতে সার দেওয়ার ২০-৩০ দিন পরে গাছ লাগাতে হবে। এছাড়া রাসায়নিক সার না দিয়ে  প্রতি গর্তে ৪০-৫০ কেজি পঁচা গোবর সার গর্তের মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে উক্ত গর্তে সাথে সাথে গাছ লাগানো যায়। তবে  খেয়াল রাখতে হবে যে, কাটিং গর্তে লাগানোর সময় প্রতিটি কাটিং এর তিন ভাগের এক ভাগ গর্তের মাটির নিচে রাখতে হবে। কাটিং লাগানোর সময় গর্তের মাটির সাথে ৩/৪টি নিম পাতা এবং ১০ গ্রাম সেভিন ৮৫ ডব্লিউপি গর্তের মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে কাটিং লাগালে মাটিতে পোকা-মাকড়েরর আক্রমণ কম হয়। গর্তে কাটিং লাগানোর পর কাটিং এর মাথায় আলকাতরা দিয়ে দিতে হবে কারণ এতে করে সজিনা কাটিং এর মাথা শুকিয়ে যাবে না।
মৎস্য বিষয়ক
মো: পারভেজ, গ্রাম: বারইখালি, উপজেলা: মাগুরা, জেলা: মাগুরা
প্রশ্ন: মাছ বড় হচ্ছে না। কী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে?
উত্তর: হ্যাচারি বা যে কোন উৎস থেকে অপরিপক্ব বা পুষ্টিহীন বা খারাপ মানের পোনা আনলে বা পুকুরে মাছের পোনা বেশি ঘনত্ব ছাড়লে এ সমস্যা হতে পারে। তাই পোনা সংগ্রহের আগে পোনার গুণগত মান সর্ম্পকে খোঁজ নিয়ে বিশ^স্ত কোন হ্যাচারি থেকে সংগ্রহ করতে হয়। তবে দৈনিক সম্পূরক খাদ্য অর্থাৎ মানসম্পন্ন খাবার দিলে, সার প্রয়োগ করলে এবং পানি ব্যবস্থাপনা ঠিকমতো করতে পারলে এ সমস্যার সমাধান হয়। মাছের ঘনত্ব বেশি থাকলে কমিয়ে দিতে হবে। শতকপ্রতি ৪০ থেকে ৫০টি মাছ যেমন মিশ্র চাষের ক্ষেত্রে সিলভার কার্প, কাতল/বিগহেড শতকপ্রতি ২০টি, রুই ১২টি, মৃগেল/মিরর কার্প/কার্পিও ১০টি, গ্রাসকার্প ২টি, সরপুটি ৬টি পুকুরে ছাড়া যেত পারে। পুকুরে মাছের মোট ওজনের ৩% থেকে ৫% হারে সম্পূরক সুষম খাদ্য প্রতিদিন প্রয়োগ করতে হবে। পুকুরের পানি ঘোলা হলে শতকপ্রতি চুন ০.৫ কেজি এবং  ইউরিয়া সার শতকপ্রতি ১০০ গ্রাম হারে দিতে হবে। তবেই আপনি লাভবান হবেন।  
মো. ফারাবি, গ্রাম: উত্তর চরটিটিইয়া, উপজেলা: বরহানুদ্দিন, জেলা: ভোলা
প্রশ্ন: পুকুরে পাঙ্গাস মাছ হঠাৎ মারা যাচ্ছে। কী করব?    
উত্তর: সাধারণত গ্যাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণে মাছ মারা যায়। পুকুরে মাছের ঘনত্ব কমিয়ে দিতে হবে। কারণ অনেক সময় মাছের ঘনত্ব বেশি হলে অক্সিজেন স্বল্পতার কারণেও মাছ মারা যায়। সেজন্য হররা টেনে দিতে হবে। সম্ভব হলে পানি ঢুকাতে হবে। জিওলাইট ২৫০ গ্রাম প্রতি শতকে দিতে হবে। অক্সিটেট্রাসাইক্লন ১০ মিলিগ্রাম ১ কেজি খাবারের সাথে মিশিয়ে ৭ দিন পরপর ৩ বার দিলে ভাল ফল পাওয়া যায়। পুুকরের পাড়ে যদি বড় গাছ থাকে তাহলে গাছের ডাল ছেঁটে দিতে হবে যাতে করে পাতা পুকুরে না পড়ে। তাছাড়া পুকুরের চারপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। পুকুরে যাতে পর্যাপ্ত সূর্যেও আলো পৌঁছাতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। এসব ব্যবস্থা নিলে আপনি উপকার পাবেন।
প্রাণিসম্পদ বিষয়ক
সজীব সরকার, গ্রাম: মদনপুর, উপজেলা: চাঁদপুর সদর, জেলা: চাঁদপুর
প্রশ্ন: আমার ভেড়ার বয়স ২ বছর। ভেড়ার মুখে, পায়ে ও দুই ক্ষুরের মাঝে ফোস্কা পড়েছে। জ¦র হয়েছে এবং মুখ দিয়ে লালা ঝরছে। এঅবস্থায় কী করণীয়?  
উত্তর: ফিটকিরি বা পটাশের পানি দিয়ে আক্রান্ত ভেড়ার মুখ ও পায়ের ঘা ধুয়ে দিতে হবে। অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিহিস্টামিন ও ব্যথানাশক ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে সুস্থ অবস্থায় ভেড়াকে নিয়মিত টিকা প্রদান করতে হবে।
সাইদুর রহমান, গ্রাম: বড়বাড়িয়া, উপজেলা: চারঘাট, জেলা: রাজশাহী
প্রশ্ন: আমার ছাগলের ২ মাস গর্ভকালীন সময়ে গর্ভপাত ঘটেছে। কী করণীয় ?  
উত্তর: অ্যান্টিবায়োটিক দ্বারা দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা করে অনেক সময় সুফল পাওয়া যায়। তবে আক্রান্ত ছাগলকে পাল থেকে সরিয়ে দেওয়াই উত্তম।
(মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিষয়ক প্রশ্ন কৃষি কল সেন্টার হতে প্রাপ্ত)

কৃষিবিদ মো. তৌফিক আরেফীন

উপপ্রধান তথ্য অফিসার, কৃষি তথ্য সার্ভিস, খামারবাড়ি, ঢাকা-১২১৫, মোবাইল নং ০১৭১১১১৬০৩২, ঃ taufiquedae25@gmail.com

 

 


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon